আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাগুড়ার সেই শিশু আছিয়ার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এর নিন্দা জানাই। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলার আসামিরা কোনও ছাড় পাবে না। দ্রুত সময়ে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’ তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে অতিদ্রুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা একটা হটলাইন দেওয়া হবে। যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। রাস্তাঘাটে কোনও ঘটনা ঘটলে ওই হটলাইনে অভিযোগ করা যাবে। এটা তদারকি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সেল রাখা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ঘটনায় তাকে চাপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যেদিন মামলা প্রত্যাহার করানো হয়, সেদিন সেই যৌন নিপীড়ক জামিন পেয়েছিল।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিনে যেসব মব জাস্টিস এবং মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা গ্রেফতার হয়নি তাদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’ সব ঘটনাই সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, কোনও অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না।’
ধর্ষণের মামলা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত ও ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকি করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আলাদা একটা সেল থাকবে, যেন অযথা সময় ক্ষেপণ না করা হয়।