আমি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) নই; এবং বাংলাদেশে ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধিও (HR) নই। বর্তমানে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন ধরনের পদেও আমি অধিষ্ঠিত নই।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি হিসাবে আমার ছবি যে সমস্ত মিডিয়া ব্যবহার করছেন সেগুলো অনুগ্রহ পূর্বক অতি সত্বর সরিয়ে ফেলার জন্য সবার কাছে একান্ত অনুরোধ রইলো!
সকলের অবগতির জন্য আমি জানাচ্ছি যে আমি একজন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। আমি সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এবং কানাডা এবং অন্যান্য চারটি দেশে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনে বাংলাদেশের স্হায়ী প্রতিনিধি হিসেবে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের সেবা করেছি ও সরকারী দায়িত্ব পালন করেছি।
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যম আমার ছবি মাঝে মাঝেই NSA/HR হিসেবে ব্যবহার করছেন যা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য মানসিক যন্ত্রণা এবং সামাজিকভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এটি জনসম্মুখে আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও মর্যাদার অপূরণীয় ক্ষতিও করছে।
আমি সবার উদ্দেশ্য বলতে চাই যে আমি একজন শান্তিপ্রিয়, মুক্ত মনের, গর্বিত এবং দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী। আমি যেখানেই দেশের জন্য কাজ করেছি সেখানে আমার প্রিয় দেশের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে সরকারের প্রচলিত নীতি অনুযায়ী সেবা প্রদান করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
আমি কখনও কোন বিদেশী রাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য বা বিদেশী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করিনি। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা সবাই দেশের প্রচলিত পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের পাসপোর্টের অধিকারী।
যদিও কিছু কিছু মিডিয়াতে গত কয়েক মাস যাবত NSA/HR হিসেবে আমার ছবির ব্যবহার আমাকে অস্বস্তিতে ফেলছিল, আজকে এই বিষয়ে লেখার অন্যতম কারন হচ্ছে যে একটি বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় ভারতীয় টিভি চ্যানেলে আমার ছবি ব্যবহার করে দেশের বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টার পাসপোর্ট বিষয়ক একটি ভিডিও সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। এটি আমার ও আমার পরিবারের জন্য উদ্বেগজনক ও অসম্মানজনক। আমি এব্যাপারে তাদের কাছে একটি প্রতিবাদ পাঠিয়েছি।
NSA/HR হিসেবে আমার ছবি ব্যবহার না করার বিষয়ে সবার একান্ত সহযোগিতা ও সাহায্য কামনা করছি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
@aajtak @AajTakBangla