ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্ত্রী-সন্তানসহ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। ঝিনাইদহের প্রভাবশালী নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিকাশ কুমার ঘোষকে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের শনিবার (৩১ মে) বিকালে
সময় দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকাশ কুমারকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ মে দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে,অ্যাডভোকেট বিকাশ কুমার ঘোষ স্ত্রী রুপা রাহুত ও কন্যা অহনা ঘোষকে নিয়ে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যান। ১৭ দিন ভারতে অবস্থানের পর শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি একই পথে দেশে ফিরে আসার পর দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
আওয়ামী লীগ নেতা বিকাশ কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ থানায় মামলা থাকলেও তিনি জামিনে ছিলেন। তবে দর্শনা ইমিগ্রেশনে তিনি কালো তালিকাভুক্ত থাকায় তাকে আটক করা হয় বলে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বিকাশ কুমার ঘোষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপি আনার অপহরণ মামলার আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর আস্থাভাজন ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি অল্প বয়সে ঝিনাইদহ জেলা জজ আদালতের জিপি পদে নিয়োগ পান। আইন কর্মকর্তা হয়ে বিকাশ কুমার ঘোষ আদালতে প্রভাব বিস্তার করে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামে হিন্দুদের কয়েক শ বিঘা অর্পিত সম্পত্তি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতে স্থানান্তর করে প্রভাব খাটিয়ে সরকারের বিপক্ষে রায় বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।