র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ও সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প কর্তৃক যৌথ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার আক্তারুল হোসেন (৩৫) ক্লুলেস হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী দুলাল মিয়া (৩৮) গ্রেফতার। ১। টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানায় বাদী মোছাঃ মল্লিকা খাতুন (২৮), স্বামী-রশিদুল, সাং-বাসুদেবপুর, থানা-চিরির বন্দর, জেলা-দিনাজপুর এর দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বাদীর ভাই ভিকটিম আক্তারুল হোসেন (৩৫) টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানাধীন মুসলিম নগর বলদকুড়া সাকিনস্থ জনৈক মোঃ মোর্শেদ আলম (৪২) এর মুরগীর ফার্মে প্রায় ৯ মাস পূর্ব থেকে কাজ করে আসতেছিল। ঘটনার তারিখ গত ১৮ মে ২০২৫ খ্রি. সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় ঐ মুরগীর ফার্মের পিছনের ড্রেনে আক্তারুল হোসেন (৩৫) এর গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানায় সংবাদ দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন মোছাঃ মল্লিকা খাতুন (২৮) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২১, তারিখ-১৯/০৫/২৫ খ্রি. ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। ঘটনার পর সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে। ২। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প ও সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল ০৯ জুন ২০২৫ খ্রি. দুপুর অনুমান ১৩:০৫ ঘটিকায় শেরপুর জেলার সদর থানাধীন নন্দীর বাজার এলাকা হতে ভিকটিম আক্তারুল হেসেন (৩৫) ক্লুলেস হত্যা মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী ১। দুলাল মিয়া (৩৮), পিতা- মৃত হাসু মিয়া, সাং- বল্লা, থানা-কালিহাতী৷ জেলা-টাঙ্গাইল’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ৩। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।৪। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক, অপহরণ ও দস্যুতাসহ ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।